‘শহর সমাজ কার্যক্রম বাস্তবায়ন নীতিমালা’-২০১৯ অনুযায়ী দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ নীতিমালা নিম্নরূপ-
অধ্যায়-৩: দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ
১৪। উদ্দেশ্য-
(১) টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিতকল্পে তরুণদের উপযুক্ত দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে যথোপযুক্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি;
(২) দেশের তরুণ সম্প্রদায়কে উপযুক্ত পেশায় নিয়োজিত করার লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ; এবং
(৩) তরুণ উদ্যোক্তা তৈরি।
১৫। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নাম।–
শহর সমাজ উন্নয়ন কার্যক্রমের আওতায় দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নাম বাংলায়- ‘দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, শহর সমাজসেবা কার্যালয়, ............’, এবং ইংরেজিতে ‘Skill Development Training Centre, Urban Social Services Office, ..........……’ হবে।
১৬। প্রশিক্ষণ ট্রেডসমূহ।–
(১) দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহে বাংলাদেশ কারিগরী শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত ট্রেড অনুযায়ী অনুরূপ নামকরণ ও সিলেবাস অনুসরণ করতে হবে;
ক্রম |
ট্রেড’এর নাম |
ট্রেড কোড |
---|---|---|
১ |
কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন |
৭৬ |
২ |
ইলেকট্রিকাল হাউজ ওয়্যারিং |
১৭ |
৩ |
হার্ডওয়্যার এন্ড নেটওয়ার্কিং |
৭৭ |
৪ |
রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ার-কন্ডিশনিং |
২৭ |
৫ |
ড্রেসমেকিং এন্ড টেইলারিং |
২৯ |
৬ |
সার্টিফিকেট-ইন-বিউটিফিকেশন |
৭২ |
৭ |
মোবাইলফোন সার্ভিসিং |
৩৫ |
৮ |
প্রফিসিয়েন্সী ইন ইংলিশ কমিউনিকেশন |
৯৭ |
৯ |
গ্রাফিক্স ডিজাইন এন্ড মাল্টিমিডিয়া প্রোগ্রামিং |
৮১ |
১০ |
ব্লক-বাটিক এন্ড প্রিন্টিং |
৯৬ |
১১ |
ডাটাবেজ প্রোগ্রামিং |
৭৯ |
১২ |
ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট |
০২ |
১৩ |
রেডিও এন্ড টেলিভিশন সার্ভিসিং |
২৬ |
১৪ |
বাশঁ, বেত ও পাটি শিল্প |
৬৪ |
১৫ |
জেনারেল ইলেকট্রনিক্স |
৯৫ |
১৬ |
ড্রাইভিং কাম অটো মেকানিক্স |
৬৮ |
১৭ |
ট্রাভেল ট্যুরিজম এন্ড টিকেটিং |
৯১ |
১৮ |
এমব্রয়ডারি মেশিন অপারেটর অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স |
০৪ |
১৯ |
হর্টিকালচার |
৬০ |
২০ |
আমিনশীপ |
৪৮ |
২১ |
সার্টিফিকেট ইন প্যাটার্ন মেকিং |
৭৩ |
২২ |
ফুড এন্ড বেভারেজ প্রোডাকশন
|
৩৮ |
২৩ |
অটোক্যাড |
৩৪ |
১৭। প্রশিক্ষণার্থীর যোগ্যতা।–
(১) প্রশিক্ষণ গ্রহণের যোগ্য ১৪ থেকে ৪৫ বছর বয়সী যে কোনো বাংলাদেশী নাগরিক (নারী/পুরুষ/হিজড়া) প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য আবেদন করতে পারবে:
তবে শর্ত থাকে যে, সুবিধাবঞ্চিত ও সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তি এ প্রশিক্ষণ গ্রহণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।
(২) সরকারি আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচিত সরকারি কর্মচারী এবং প্রকল্প বা কর্মসূচির সুবিধাভোগী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারবে;
(৩) প্রশিক্ষণ গ্রহণের ক্ষেত্রে একজন প্রশিক্ষণার্থীর নিম্নবর্ণিত যোগ্যতা থাকতে হবে, যথা:
(ক) ড্রেস মেকিং এন্ড টেইলারিং, সার্টিফিকেট-ইন-বিউটিফিকেশন, হর্টিকালচার ও ব্লক-বাটিক এন্ড প্রিন্টিং ট্রেড’এর জন্য শিক্ষাগতযোগ্যতা ন্যূনতম ৫ম শ্রেণি বা পিইসি বা সমমান উত্তীর্ণ।
(খ) অন্যান্য সকল ট্রেড’এর প্রশিক্ষণার্থীর ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি বা জেএসসি বা সমমান উর্ত্তীর্ণ।
১৮। প্রশিক্ষণার্থী ভর্তি কমিটি।–
(১) নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে প্রশিক্ষণার্থী ভর্তি কমিটি গঠিত হবে, যথা:
(ক) সংশ্লিষ্ট সমাজসেবা অফিসার, যিনি উক্ত কমিটির আহবায়ক হবেন;
(খ) উপপরিচালক জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের প্রতিনিধি 1 জন;
(গ) সভাপতি, সমন্বয় পরিষদ কর্তৃক মনোনীত সমন্বয় পরিষদের সদস্য 1 জন; এবং
(ঘ) সংশ্লিষ্ট ট্রেড’এর প্রধান প্রশিক্ষক, যিনি উক্ত কমিটির সদস্য-সচিব হবেন।
(২) উপঅনুচ্ছেদ ১ এ বর্ণিত কমিটি প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে।
(৩) কমিটির কর্মপরিধি নিম্নরূপ, যথা:
(ক) নীতিমালা অনুযায়ী প্রশিক্ষণার্থী বাছাই ও ভর্তি নিশ্চিতকরণ;
(খ) প্রশিক্ষণের মান উন্নয়নে সুপারিশ প্রদান;
(গ) প্রশিক্ষণার্থী ভর্তি ও বাছাই সংক্রান্ত উদ্ভুত সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা গ্রহণ করা; এবং
(ঘ) প্রশিক্ষণার্থী ভর্তি ও বাছাই সংক্রান্ত বিষয়ে সমন্বয় পরিষদ বা নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত যেকোনো দায়িত্ব পালন।
১৯। প্রার্থী বাছাই ও ভর্তি পদ্ধতি।–
প্রার্থী বাছাই ও ভর্তি প্রক্রিয়ায় নিম্নোক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে, যথা:
(ক) কোনো নির্দিষ্ট ট্রেড’এ প্রশিক্ষণ কোর্স শুরুর অন্তত ১ (এক) মাস পূর্বে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে;
(খ) ক্ষেত্রমত, স্থানীয় পত্রিকা, সোস্যাল মিডিয়া, স্থানীয় ক্যাবল টিভি, পোস্টার, লিফলেট, ব্যানার ইত্যাদির মাধ্যমে বিস্তারিত তথ্যসহ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে;
(গ) প্রশিক্ষণ কোর্স’এ ভর্তির আবেদন করার জন্য একটি নির্ধারিত সময় থাকতে হবে;
(ঘ) যে কোনো ট্রেড বা কোর্স’এ ভর্তির জন্য আগ্রহীকে সমাজসেবা অধিদফতর কর্তৃক নির্ধারিত ফরম ইউসিডি- এ ক্ষেত্রমত, সরাসরি বা অফলাইন বা অনলাইন’এ আবেদন করতে হবে; এবং
(ঙ) কোনো নির্দিষ্ট ট্রেড’এর ক্ষেত্রে আবেদনকারীর সংখ্যা উক্ত ট্রেড’এর অনুমোদিত আসন সংখ্যার চেয়ে বেশি হলে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থী বাছাই করতে হবে।
২১। বোর্ড’এ প্রশিক্ষণার্থী নিবন্ধন ও মেয়াদ।–
(১) অনুচ্ছেদ ২০ অনুসারে রেজিস্ট্রেশন ফি ও কেন্দ্র ফি পরিশোধ করে বোর্ড’এর সিস্টেমে প্রবেশ করে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কর্তৃক নিবন্ধন প্রক্রিয়া নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন করতে হবে;
(২) বোর্ড’এর তালিকাভুক্ত ট্রেড থেকে স্থানীয় চাহিদা অনুযায়ী নির্বাচিত ট্রেড অনুযায়ী বোর্ড’এর সিলেবাস বা কারিকুলাম বা মডিউল মোতাবেক ৩-৬ মাস মেয়াদি/৩৬০ ঘন্টার প্রশিক্ষণ কোর্স জানুয়ারি-জুন ও জুলাই-ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারি-মার্চ, এপ্রিল-জুন, জুলাই-সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর-ডিসেম্বর সেশনে পরিচালিত হবে।
২২। প্রশিক্ষণ সমাপ্তি ও সুবিধা।–
২৩। প্রশিক্ষকের ধরন
দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রশিক্ষক নিম্নরূপে বিন্যস্ত হবে, যথা:
(ক) প্রধান প্রশিক্ষক;
(খ) সিনিয়র প্রশিক্ষক;
(গ) প্রশিক্ষক; এবং
(ঘ) জুনিয়র প্রশিক্ষক।
২৪। প্রশিক্ষক ও সহায়ক কর্মচারী।
প্রতিটি প্রশিক্ষণ কোর্স’এর ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণার্থীর সংখ্যা অনুপাতে নিম্নবর্ণিতভাবে প্রশিক্ষক ও সহায়ক কর্মচারী নিয়োগ করতে পারবে, যথা:
প্রশিক্ষণার্থী সংখ্যা |
প্রশিক্ষকের সংখ্যা |
মোট |
৮০ এর নিচে |
জুনিয়র প্রশিক্ষক-১ জন এবং সহায়ক কর্মচারী-১ জন |
২ |
৮১-১৫০ |
প্রশিক্ষক-১ জন, জুনিয়র প্রশিক্ষক-১ জন এবং সহায়ক কর্মচারী-১ জন |
৩ |
১৫১-৩০০ |
সিনিয়র প্রশিক্ষক-১ জন, প্রশিক্ষক-১ জন, জুনিয়র প্রশিক্ষক-২ জন এবং সহায়ক কর্মচারী ২ জন |
৬ |
৩০১-৪৫০ |
প্রধান প্রশিক্ষক-১ জন, সিনিয়র প্রশিক্ষক-১ জন, প্রশিক্ষক-১ জন, জুনিয়র প্রশিক্ষক-২ জন এবং সহায়ক কর্মচারী ২ জন |
৭ |
৪৫১-৬০০ |
প্রধান প্রশিক্ষক-১ জন, সিনিয়র প্রশিক্ষক-১ জন, প্রশিক্ষক-২ জন, জুনিয়র প্রশিক্ষক-২ জন, সহায়ক কর্মচারী (হিসাবরক্ষক)-১ জন এবং সহায়ক কর্মচারী (অফিস সহায়ক)-২ জন |
৯ |
৬০১-৭৫০ |
প্রধান প্রশিক্ষক-১ জন, সিনিয়র প্রশিক্ষক-২ জন, প্রশিক্ষক-২ জন, জুনিয়র প্রশিক্ষক-২ জন, সহায়ক কর্মচারী (হিসাবরক্ষক)-১ জন এবং সহায়ক কর্মচারী (অফিস সহায়ক)-২ জন |
১০ |
৭৫১-৯০০ |
প্রধান প্রশিক্ষক-১ জন, সিনিয়র প্রশিক্ষক-২ জন, প্রশিক্ষক-২ জন, জুনিয়র প্রশিক্ষক-৩ জন, সহায়ক কর্মচারী (হিসাবরক্ষক)-১ জন এবং সহায়ক কর্মচারী (অফিস সহায়ক)-3 জন |
১২ |
৯০১-১০৫০ |
প্রধান প্রশিক্ষক-১ জন, সিনিয়র প্রশিক্ষক-২ জন, প্রশিক্ষক-৩ জন, জুনিয়র প্রশিক্ষক-৪ জন, সহায়ক কর্মচারী (হিসাবরক্ষক)-১ জন এবং সহায়ক কর্মচারী (অফিস সহায়ক)-4 জন |
১৫ |
২৫। প্রশিক্ষক ও সহায়ক কর্মচারীর বেতন-ভাতাদি।–
(১) সংশ্লিষ্ট সমন্বয় পরিষদ প্রশিক্ষক ও সহায়ক কর্মচারীর মাসিক বেতন-ভাতাদি নির্ধারণ করতে পারবে:
তবে শর্ত থাকে যে সর্বসাকুল্যে প্রধান প্রশিক্ষক-20,০০০ টাকা, সিনিয়র প্রশিক্ষক-১6,০০০ টাকা, প্রশিক্ষক-১4,০০০ টাকা, জুনিয়র প্রশিক্ষক-১2,০০০ টাকা, সহায়ক কর্মচারী (হিসাবরক্ষক)-14000 টাকা এবং সহায়ক কর্মচারী (অফিস সহায়ক) এর মাসিক বেতন 6,০০০ টাকার নিচে নির্ধারণ করা যাবে না;
আরও শর্ত থাকে যে, সরকারি বেতন স্কেল এবং বাজারদরের সাথে সংগতি রেখে সংশ্লিষ্ট সমন্বয় পরিষদ দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের আর্থিক সক্ষমতা ও ট্রেড (সংশ্লিষ্ট ট্রেডের আয়) অনুসারে সময়ে সময়ে প্রশিক্ষক ও সহায়ক কর্মচারীর মাসিক বেতন বৃদ্ধি করে পুনঃনির্ধারণ করতে পারবে।
(২) প্রত্যেক প্রশিক্ষক ও সহায়ক কর্মচারীর সর্বশেষ মাসের মাসিক বেতনের ৫ (পাঁচ) শতাংশ হারে বার্ষিক বর্ধিত বেতন মূল বেতনের সাথে যোগ হবে;
(৩) প্রত্যেক প্রশিক্ষক ও সহায়ক কর্মচারী বছরে উৎসবের পূর্ববর্তী মাসিক সর্বসাকুল্য বেতনের সমপরিমাণ ২ (দুই) টি উৎসবভাতা প্রাপ্য হবেন:
তবে শর্ত থাকে যে, উৎসব ভাতা প্রাপ্তির জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষক ও সহায়ক কর্মচারীর চাকুরীকাল ন্যূনতম একবছর হতে হবে।
২৬। প্রশিক্ষক ও সহায়ক কর্মচারী নিয়োগ কমিটি গঠন, কর্মপরিধি, ইত্যাদি।
(১) নিম্নবর্ণিত সদস্যের সমন্বয়ে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রশিক্ষক ও সহায়ক কর্মচারী নিয়োগ কমিটি’ গঠিত হবে, যথা:-
(ক) সংশ্লিষ্ট জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক - সভাপতি
(খ) সভাপতি, সমন্বয় পরিষদ, সংশ্লিষ্ট শহর সমাজসেবা কার্যালয় - সদস্য
(গ) সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক কর্তৃক মনোনীত একজন প্রতিনিধি - সদস্য
(ঘ) সংশ্লিষ্ট জেলার কারিগরী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ কর্তৃক
মনোনীত প্রতিনিধি - সদস্য
(ঙ) সংশ্লিষ্ট শহর সমাজসেবা কার্যালয়ের সমাজসেবা কর্মকর্তা, - সদস্য সচিব
(২) কমিটির কর্মপরিধি নিম্নরূপ হবে, যথা:
(ক) এই কমিটি নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবে।
(খ) দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রশিক্ষক ও সহায়ক কর্মচারী নিয়োগ প্রদানের সুপারিশ করবে।
(গ) নিয়োগপ্রাপ্ত প্রশিক্ষক ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা পরিপন্থী বা সংস্থার স্বার্থ পরিপন্থী কোনো কর্মকাণ্ডের অভিযোগ প্রমাণিত হলে, ক্ষেত্রমত, শুনানী গ্রহণ করে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে পারবে।
(ঘ) কমিটির সুপারিশ মোতাবেক সংশ্লিষ্ট সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ আদেশ প্রদান করবে।
২৭। প্রশিক্ষক নিয়োগ পদ্ধতি।
দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রশিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে, যথা:
(ক) এ কমিটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অফিসের নোটিশ বোর্ডে, স্থানীয় পত্রিকায়/ওয়েব সাইটে প্রকাশ করবে।
(খ) নিয়োগ পরীক্ষার নম্বর নিম্নরূপে বিন্যস্ত হবে, যথা:
(অ) সর্বমোট ১৫০ নম্বরের পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে;
(আ) উপদফা (অ)’এ বর্ণিত সর্বমোট নম্বরের মধ্যে মোট 100 নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে:
তবে শর্ত থাকে যে, বাংলা-২০, ইংরেজি-২০, গণিত-২০ ও সাধারণ জ্ঞান-১০ নম্বর এবং কম্পিউটার/সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ৩০ নম্বরের প্রশ্ন সন্নিবিষ্ট থাকবে;
লিখিত পরীক্ষায় পাশ নম্বর ৫০। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীগণই ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।
(ই) উপদফা (অ)’এ বর্ণিত সর্বমোট নম্বরের মধ্যে অবশিষ্ট ৫০ নম্বরের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষায় ২৫ ও মৌখিক পরীক্ষায় ১৫ নম্বর এবং একাডেমিক রেজাল্ট’এর জন্য ১০ নম্বর নির্ধারিত থাকবে:
একাডেমিক ফলাফলের ক্ষেত্রে এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় জিপিএ ৫.০০ এর মান ৫, জিপিএ ৪.০০ বা ৪.০০+ এর মান ৪, জিপিএ ৩.০০ বা ৩.০০+ এর মান ৩ এবং জিপিএ ২.৫+ এর মান ২ নম্বর করে বিবেচনা করতে হবে। উল্লেখ্য জিপিএ ২.৫ এর নীচে গ্রেড অর্জনকারী কোন প্রার্থী আবেদন করতে পারবে না।
উল্লেখ্য, যে সকল পদের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক বা তদুর্ধ্ব, তাদের ক্ষেত্রে ৫০ নম্বরের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষায় ২৫ ও মৌখিক পরীক্ষায় ১০ নম্বর এবং একাডেমিক রেজাল্ট’এর জন্য ১৫ নম্বর নির্ধারিত থাকবে:
তাদের একাডেমিক নম্বর বিভাজন স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) এর জন্য ৩ নম্বর এবং মাস্টার্স এর জন্য ২ নম্বর যোগ হবে।
(গ) প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাতালিকা প্রণয়ন করা হবে।
(ঘ) মেধাতালিকা অনুসারে প্রশিক্ষক নির্বাচন করা হবে।
২৮। সহায়ক কর্মচারী নিয়োগ পদ্ধতি।
(১) হিসাবরক্ষক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে, যথা:
নিয়োগ পরীক্ষার নম্বর নিম্নরূপে বিন্যস্ত হবে, যথা:
(অ) সর্বমোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে;
(আ) উপদফা (অ)’এ বর্ণিত সর্বমোট নম্বরের মধ্যে মোট ৭০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে:
তবে শর্ত থাকে যে, বাংলা-১০, ইংরেজি-১০, গণিত-২০ ও সাধারণ জ্ঞান- ১০ নম্বর এবং কম্পিউটার বিষয়ে ১০ ও হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে ১০ নম্বরের প্রশ্ন সন্নিবিষ্ট থাকবে;
লিখিত পরীক্ষায় পাশ নম্বর ৩৫। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীগণই মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।
(ই) উপদফা (অ)’এ বর্ণিত সর্বমোট নম্বরের মধ্যে মৌখিক পরীক্ষায় ১5 নম্বর এবং একাডেমিক রেজাল্ট’এর জন্য ১৫ নম্বর নির্ধারিত থাকবে:
একাডেমিক ফলাফলের ক্ষেত্রে এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় জিপিএ ৫.০০ এর মান ৫, জিপিএ ৪.০০ বা ৪.০০+ এর মান ৪, জিপিএ ৩.০০ বা ৩.০০ + এর মান ৩ এবং জিপিএ ২.৫+ এর মান ২ নম্বর করে বিবেচনা করতে হবে। স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) এর জন্য ৫ নম্বর যোগ হবে। উল্লেখ্য জিপিএ ২.৫ এর নীচে গ্রেড অর্জনকারী কোন প্রার্থী আবেদন করতে পারবে না।
(২) অফিস সহায়ক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান ১০ নম্বর করে সর্বমোট ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা এবং ১০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে; তবে শর্ত থাকে যে, লিখিত পরীক্ষায় ন্যূনতম ২০ নম্বর প্রাপ্তকে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত করা হবে।
(৩) পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাতালিকা প্রণয়ন ও ঘোষণা করতে হবে; এবং
(৪) মেধাতালিকা অনুসারে অগ্রাধিকারভিত্তিতে সহায়ক কর্মচারী চূড়ান্ত নির্বাচন ও ঘোষণা করতে হবে।
২৯। প্রশিক্ষক ও সহায়ক কর্মচারীর যোগ্যতা
(১) প্রধান প্রশিক্ষকের শিক্ষাগত যোগ্যতা সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে: সরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট হতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রি/ ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগে স্নাতকসহ স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানে/সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ১ বৎসরের ডিপ্লোমা ডিগ্রি এবং পদোন্নতির ক্ষেত্রে: ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগে স্নাতকসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জাতীয় দক্ষতামান বেসিক কোর্স (৩৬০ ঘন্টা) সহ প্রশিক্ষক হিসেবে ন্যূনতম ৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে;
তবে শর্ত থাকে যে, উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
(২) সিনিয়র প্রশিক্ষকের শিক্ষাগত যোগ্যতা সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে: সরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট হতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রি/ ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগে স্নাতকসহ স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানে/সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ১বৎসরের ডিপ্লোমা ডিগ্রি এবং পদোন্নতির ক্ষেত্রে: ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগে স্নাতকসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জাতীয় দক্ষতামান বেসিক কোর্স (৩৬০ ঘন্টা) সহপ্রশিক্ষক হিসেবে ন্যূনতম ৩ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে;
তবে শর্ত থাকে যে, উচ্চতর শিক্ষাগতযোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
(৩) প্রশিক্ষকের শিক্ষাগত যোগ্যতা সিনিয়র প্রশিক্ষকের শিক্ষাগত যোগ্যতা সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে: সরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট হতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রি/ ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগে স্নাতকসহ স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানে/সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ১বৎসরের ডিপ্লোমা ডিগ্রি এবং পদোন্নতির ক্ষেত্রে: ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগে স্নাতকসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জাতীয় দক্ষতামান বেসিক কোর্স (৩৬০ ঘন্টা) সহপ্রশিক্ষক হিসেবে ন্যূনতম ২ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে;
তবে শর্ত থাকে যে, উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
(৪) জুনিয়র প্রশিক্ষকের শিক্ষাগত যোগ্যতা সরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট হতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রি/ ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিকসহ স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানে ডিপ্লোমা ডিগ্রি/ জাতীয় দক্ষতামান বেসিক কোর্স (৩৬০ ঘন্টা) এবং প্রশিক্ষক হিসেবে ন্যূনতম ১ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে:
তবে শর্ত থাকে যে, উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
(৫) হিসাবরক্ষক পদে শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগে স্নাতক ডিগ্রিধারী এবং সংশ্লিষ্ট কাজে ন্যূনতম ১ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে:
তবে শর্ত থাকে যে, উচ্চতর শিক্ষাগতযোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
(৬) অফিস সহায়ক পদে শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম এসএসসি বা সমমান পাশ হতে হবে।
৩০। প্রশিক্ষকের দায়িত্ব
প্রশিক্ষক নিম্নবর্ণিত দায়িত্ব পালন করবেন, যথা:
(ক) প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে বোর্ড প্রদত্ত সিলেবাস ও মউিউল অনুসরণ করতে হবে।
(খ) প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রশিক্ষণার্থী বৃদ্ধি এবং প্রশিক্ষণ সঠিকভাবে পরিচালনায় সমন্বয় পরিষদকে সহযোগিতা করবেন।
(গ) প্রশিক্ষণার্থী ভর্তি কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
(ঘ) সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশনা অনুসারে, ক্ষেত্রমত, প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট দাফতরিক কার্যাবলী এবং অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন।
৩১। সহায়ক কর্মচারীর দায়িত্ব
সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশনা এবং প্রশিক্ষক কর্তৃক প্রদত্ত দায়িত্ব অনুসারে সহায়ক কর্মচারী স্বীয় দায়িত্ব পালন করবেন।
৩২। দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা
(১) শহর সমাজ উন্নয়ন কার্যক্রম (ইউসিডি) এর অধীনে ‘সমন্বয় পরিষদ’ শহর সমাজসেবা কার্যালয় প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করবে;
(২) সমন্বয় পরিষদ এর সাধারণ সম্পাদক দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
৩৩। দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের আর্থিক ব্যবস্থাপনা
(১) দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, শহর সমাজসেবা কার্যালয়……… তহবিল শিরোনামে সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের যৌথ স্বাক্ষরে স্থানীয় অনলাইন সুবিধাযুক্ত তফসিলভুক্ত ব্যাংকে সঞ্চয়ী হিসাব খুলে যাবতীয় লেনদেন সম্পন্ন করতে হবে।
(২) প্রশিক্ষণে অর্জিত আয় সমন্বয় পরিষদের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যয় করতে হবে।
(৩) প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত আয়-ব্যয়ের হিসাব পৃথকভাবে সংরক্ষণ করতে হবে।
(৪) প্রতিমাসে প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণ আয়-ব্যয় সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন জেলা সমাজসেবা কার্যালয় ও সমাজসেবা অধিদফতরের ইউসিডি শাখায় প্রেরণ এবং বছর শেষে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে।
(৫) প্রশিক্ষণার্থী ভর্তি বা অন্যান্য সকল লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে পরিচালনা করতে হবে। নগদ অর্থ গ্রহণ করা যাবে না।
(৬) দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সুষ্ঠু ও সফলভাবে পরিচালনার জন্য উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে চলমান প্রশিক্ষণ কোর্স (৩৬০ ঘন্টা মেয়াদী/ ৩মাস - ৬মাস মেয়াদী) হতে সমন্বয় পরিষদ আর্থিক সক্ষমতা বিবেচনায় প্রশিক্ষণের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মানী প্রদান করতে পারবে। তবে এ সম্মানীর মোট পরিমাণ চলমান প্রশিক্ষণ কোর্সের লব্ধ নীট আয়ের ১০% এর অধিক হবে না।
(৭) অনুচ্ছেদ ১১’ এ বর্ণিত নির্দেশনা অনুসারে আর্থিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে।
৩৪। প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের মানোন্নয়ন ও ইনোভেশন
(১) শহর সমাজসেবা কার্যক্রমের সামগ্রিক বা বিশেষ কোনো খাতের মান উন্নয়নকল্পে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে শহর সমাজসেবা কার্যালয় অন্যকোনো এনজিও/দাতা সংস্থা/প্রতিষ্ঠান বা কোনো দানশীল ব্যক্তির সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়া বা প্রয়োজনে MoU স্বাক্ষর করতে পারবে;
(2) প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার জন্য ডাটাবেইজ অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার প্রণয়ন ও ব্যবহার করা যাবে এবং এর জন্য অনুমোদিত ইউজার ম্যানুয়াল প্রণয়ন ও অনুসরণ করতে হবে;
(3) প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সুচারুরূপে পরিচালনার জন্য One line based software চালু করা হবে। প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট যাবতীয় কার্যক্রম software ব্যবহারের মাধ্যমে পরিচালিত হবে।