শারমীন এস মুরশিদ
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের মাননীয় উপদেষ্টা, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় জনাব শারমীন এস মুরশিদ। তিনি ১৯৫৪ সালের ২৬ মার্চ ঢাকার এক সম্ভান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন সুপরিচিত নির্বাচন বিশেষজ্ঞ এবং নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ‘ব্রতী’ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
দীর্ঘদিন ধরে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পাশাপাশি মুক্ত গণতন্ত্র ও দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার পক্ষে শারমীন মুরশিদ অনবদ্য অবদান রেখেছেন। এছাড়া তিনি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ‘উত্তরসূরী’-এর মহাসচিব। তিনি ২০২১ সালে কক্সবাজারেরর ৭০০ একর বন ভূমি উদ্ধারে আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
তাঁর বাবা খান সারওয়ার মুরশিদ ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রখ্যাত শিক্ষক এবং একাধারে শিক্ষাবিদ, কূটনীতিক ও বুদ্ধিজীবী। জীবদ্দশায় তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং পোল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। খান সারওয়ার মুরশিদ ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের চেয়ারম্যানেরও দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলনসহ বাংলাদেশের সকল গণ-আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের নেপথ্য রূপকারদের তিনি একজন। আজীবন তাঁর পেশা ছিল শিক্ষকতা; এবং শিক্ষক হিসাবে তিনি ছিলেন এক কিংবদন্তিতুল্য প্রতিভা।
জনাব শারমীন মুরশিদের মা নূরজাহান মুরশিদ ছিলেন সাংবাদিক, শিক্ষক ও সমাজকর্মী। তিনি স্বাধীনতা পরবর্তীকালে স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়েলর প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ ‘মুক্তি সংগ্রামী শিল্পী সংস্থা’র সদস্য ছিলেন শারমিন মুরশিদ। এই সাংস্কৃতিক দল শরণার্থীশিবিরসহ বিভিন্ন মুক্তাঞ্চলে যেত। তারা মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত ও যুদ্ধবিধ্বস্ত মানুষের চেতনাকে উজ্জীবিত করতে দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করত। পাপেট শোর আয়োজন করত। মঞ্চনাটক করত। পরবর্তী সময় ১৯৯৫ সালে এই সাংস্কৃতিক দলটির কাজের ওপর ‘মুক্তির গান’ নামের একটি বিখ্যাত তথ্যচিত্র তৈরি করা হয়।