Wellcome to National Portal
সমাজসেবা অধিদফতর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৮ জুলাই ২০২৩

স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহ

সমাজসেবা অধিদফতর থেকে স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহ (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ, ১৯৬১ ও বিধি, ১৯৬২ এর আওতায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন প্রদান করা হয়ে থাকে। এ অধ্যাদেশে নিবন্ধন গ্রহণকারী সংস্থাগুলো ১৫টি বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য নিবন্ধন নিয়ে থাকে। কার্যক্রমসমূহ হলো, শিশু কল্যাণ, যুব কল্যাণ, নারী কল্যাণ, শারীরিক ও মানসিকভাবে অসমর্থ ব্যক্তিদের কল্যাণ, পরিবার পরিকল্পনা, সমাজবিরোধী কার্যকলাপ হতে জনগণকে বিরত রাখা, সামাজিক শিক্ষা, বয়স্ক শিক্ষা, কারামুক্ত কয়েদীদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন, কিশোর অপরাধীদের কল্যাণ, ভিক্ষুক ও দুস্থদের কল্যাণ, দরিদ্র রোগীদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন, বৃদ্ধ ও দৈহিকভাবে অসমর্থ ব্যক্তিদের কল্যাণ, সমাজকল্যাণকার্যে প্রশিক্ষণ এবং সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহের সমন্বয় সাধন।

 

সমাজসেবা অধিদফতর থেকে স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান, সংস্থা, ফাউন্ডেশন এবং এতিমখানার মত জনকল্যাণমুখী এজেন্সিসমূহ নিবন্ধন দেওয়া হয়। এ সকল সংস্থার নিবন্ধন ও পরিচালনার বিষয়ে সমাজসেবা অধিদফতর থেকে সময়োপযোগী নির্দেশনা ও পরিপত্র জারি করা হয়। সমাজসেবা অধিদফতরের ৬৪ জেলা থেকে এ পর্যন্ত ৭০০৯৯ টি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে নিবন্ধন প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫৩১৯ টি এতিমখানা রয়েছে। ক্যাপিটেশন গ্র্যান্ট প্রাপ্ত এতিমখানার সংখ্যা ৪১০৩ টি। স্বেচ্ছাসেবী এ সকল সংস্থা সরকারের পাশাপাশি উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে। সরকার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাজ বাস্তবায়নে সার্বিক সহায়তা করছে। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলো কখনই সরকারের প্রতিপক্ষ নয়, সরকার তাদের কাজে কোনো নিয়ন্ত্রণ আরোপ করছে না। সংস্থাগুলোকে সরকার তার কাজের অংশীদার মনে করে। যুদ্ধপরবর্তী দেশ গঠনে সংস্থাগুলো যথেষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে। স্বাধীনতার এ দীর্ঘ সময়ে তাদের অর্জন অনেক। এ সকল সংস্থার মাধ্যমে Charity বা philanthrophy প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে organized social work  গড়ে ওঠে। সমাজের অবহেলিত, দুস্থ ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে এগিয়ে নিতে প্রাতিষ্ঠানিক সমাজকর্মের ভূমিকা অপরিসীম। একথা অনস্বীকার্য যে, বাংলাদেশের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা দরিদ্র ও অবহেলিত জনগোষ্ঠীর কল্যাণমূলক কর্মকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পেরেছে। বর্তমানে এ খাতে হাজার হাজার তরুণ-তরুণী আত্মনিয়োগ করে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে। সমাজসেবা অধিদফতর থেকে নিবন্ধিত এ সকল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মধ্যে যে সকল সংস্থা নিষ্ক্রিয় ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থি কাজে লিপ্ত ছিল সে সকল সংস্থার শুনানি গ্রহণের মাধ্যমে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে ১১,৫৩৪ টি সংস্থা বিলুপ্ত করা হয়েছে। বিলুপ্ত থেকে সক্রিয়করণ করা হয়েছে এমন সংস্থার সংখ্যা= ৩৭টি। বিলুপ্তকৃত বাদে বর্তমানে বিদ্যমান সংস্থার সংখ্য ৫৮,৪৬৫ টি। স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহ (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ, ১৯৬১ যুগোপযোগী করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট বিধি, ১৯৬২ সংশোধনপূর্বক নিবন্ধন ফি ২,০০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৫,০০০ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। এ দেশে কর্মরত সংস্থাগুলো ভিন্ন ভিন্ন আইন দ্বারা ভিন্ন কর্তৃপক্ষের নিকট হতে নিবন্ধন গ্রহণ করে কাজ করছে। সমাজসেবা অধিদফতর ছাড়াও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে মহিলা বিষয়ক অধিদফতর, সমবায় অধিদপ্তর, রেজিস্টার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানি, এনজিও বিষয়ক ব্যুরো এবং মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটি সনদ প্রদান করে থাকে।

স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহ নিবন্ধন ও তত্ত্বাবধান

সমাজসেবা অধিদফতর হতে ১৯৬১ সালের স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহ (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) ৪৬ নং অধ্যাদেশের আওতায় বিভিন্ন বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবি সংস্থা/প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন প্রদান করা হয়ে থাকে। অধ্যাদেশে অনুযায়ী নিম্ন বর্ণিত ১৫টি কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণাধীন সমাজসেবা অধিদফতর হতে নিবন্ধন প্রদান করা হয়:

শিশু কল্যাণ;

যুব কল্যাণ;

নারী কল্যাণ;

শারীরিক ও মানসিক অসমর্থ ব্যক্তিদের কল্যাণ;

পরিবার পরিকল্পনা;

কারামুক্ত কয়েদীদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন;

নাগরিক দায়িত্ববোধ জাগ্রত করার উদ্দেশ্যে সামাজিক শিক্ষা, বয়স্কদের শিক্ষা ব্যবস্থা;

সমাজ বিরোধী কার্যকলাপ হইতে জনগণকে বিরত রাখার উদ্দেশ্যে চিত্তবিনোদন কর্মসূচী;

কিশোর অপরাধীদের কল্যাণ;

ভিক্ষুক ও দুঃস্থদের কল্যাণ;

সামাজিক অসমর্থ ব্যক্তিদের কল্যাণ;

রোগীদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন;

বৃদ্ধ ও দৈহিক অসমর্থ ব্যক্তিদের কল্যাণ;

সমাজকল্যাণ কার্যে প্রশিক্ষণ;

সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহের সমন্বয় সাধন।

 

 

 

সেবা

  • স্বেচ্চাসেবী সমাজকল্যাণমূলক সংগঠনের নামকরণের ছাড়পত্র প্রদান;
  • স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণমূলক কার্যক্রমে আগ্রহী সংস্থা/প্রতিষ্ঠান/সংগঠন/বেসরকারি এতিমখানা/ক্লাব/লাইব্রেরী/ ফাউন্ডেশনের নিবন্ধন প্রদান;
  • নিবন্ধন প্রাপ্ত সংগঠনের গঠনতন্ত্র, কার্যকরী পরিষদ অনুমোদন;
  • নিবন্ধন প্রাপ্ত সংগঠনের কার্যএলাকা একাধিক জেলায় সম্প্রসাণের অনুমোদন;
  • নিবন্ধন প্রাপ্ত সংগঠনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা গ্রহণ;
  • নিবন্ধন প্রাপ্ত সংগঠসমূহের কার্যক্রম তদারকী;
  • ডুপ্লিকেট সনদপত্র প্রদান

 

কার্যক্রম বাস্তবায়ন সংশ্লিষ্টগণ

সমাজসেবা অধিদফতরের কার্যক্রম শাখা এ কার্যক্রমটি বাস্তবায়ন করে থাকে। পরিচালক (কার্যক্রম) এর নেতৃত্বে অতিরিক্ত পরিচালক, উপপরিচালক, সহকারী পরিচালক, সমাজসেবা অফিসার সদর দপ্তর পর্যায়ে এবং মাঠপর্যায়ে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের সাথে সংশ্লিষ্ট। জেলা পর্যায়ের উপপরিচালক ও সহকারী পরিচালক মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম তদারকি এবং মাঠ পর্যায় ও সদর দপ্তরের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে থাকেন। মাঠ পর্যায়ে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার ও শহর সমাজসেবা অফিসারগণ সংস্থার কার্যক্রম তদারকি করেন।

 

সেবাদান কেন্দ্র

  • নামের ছাড়পত্র, নিবন্ধন, কার্যকরী কমিটি অনুমোদন ইত্যাদি সেবার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা সমাজসেবা কার্যালয়;
  • সংশ্লিষ্ট জেলার বাইরে কার্য এলাকা সম্প্রসারণের জন্য সমাজসেবা অধিদফতরের সদর কার্যালয়;
  • অভিযোগ নিস্পত্তির জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা সমাজসেবা কার্যালয় এবং সদর কার্যালয়।   

 

 

প্রয়োজনীয় আইন, বিধি  ডাউনলোড:

 

প্রয়োজনীয় গাইডলাইন ডাউনলোড:

 

কার্যাবলি

  • স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণমূলক সংগঠনের নামকরণের ছাড়পত্র প্রদান;
  • আবেদনপত্র গ্রহণ;
  • উপযুক্ত তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা;
  •  তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ;
  • স্বেচছাসেবী সমাজকল্যাণমূলক কার্যক্রমে আগ্রহী সংস্থা/প্রতিষ্ঠান/সংগঠন/বেসরকারি এতিমখানা/ক্লাব/লাইব্রেরী/ফাউন্ডেশনের নিবন্ধন;
  • নিবন্ধন প্রাপ্ত সংগঠনের গঠনতন্ত্র, কার্যকরী পরিষদ অনুমোদন;
  • নিবন্ধন প্রাপ্ত সংগঠনের কার্যএলাকা একাধিক জেলায় সম্প্রসারণ;
  • নিবন্ধন প্রাপ্ত সংগঠনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা গ্রহণ;
  • নিবন্ধন প্রাপ্ত সংগঠসমূহের কার্যক্রম তদারকী।

 

নিবন্ধন প্রাপ্তির জন্য করণীয়

  • নামের ছাড়পত্র গ্রহণ;
  • নির্ধারিত ফমর-বি তে আবেদন পত্র প্রদান (যা সংশি­ষ্ট জেলা হতে সংগ্রহ করা যাবে);
  • আবেদনপত্রের সাথে ১-২৯৩১-০০০০- ১৮৩৬ খাতে ৫০০০/- টাকার ট্রেজারী চালান ও ৭৫০/- মূল্য সংযোজনে কর চালানের কপি সংযুক্তি;
  • আবেদন পত্রের সাথে নিম্নোক্ত কাগজপত্র জমা দেয়া:
  • সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের সত্যায়িত পাসপোর্ট সাইজের ছবি-প্রতিটি ২ কপি;
  • প্রাথমিক সাধারণ সভায় নাম নির্ধারণ সংক্রান্ত কার্যবিবরণীর সত্যায়িত অনুলিপি-১ কপি;
  • বাংলায় সংস্থার গঠণতন্ত্র (প্রতি পৃষ্ঠায় সভাপতি /সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর সম্বলিত)- ৫ কপি;
  • গঠনতন্ত্র প্রণয়ন সংক্রান্ত সভার কার্যবিররণীর সত্যায়িত অনুলিপি-১ কপি;
  • কার্যকরী পরিষদ গঠন সংক্রান্ত সভায় উপস্থিত সদস্যদের স্বাক্ষর যুক্ত নামের তালিকার সত্যায়িত অনুলিপি-১ কপি;
  • বর্ণিত কার্যবিবরনীসমূহের কার্যবিবরণী খাতায় লিপিবদ্ধ করে সকল সদস্যের স্বাক্ষরযুক্ত কার্যবিবরণীর সত্যায়িত ফটোকপি-১ কপি;
  • কার্যকরী পরিষদ সদস্যদের নাম, পদবী, পেশা, ঠিকানা (বর্তমান) ও নিজ স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা-১ কপি;
  • কার্যকরী পরিষদ সদস্য তালিকার সাথে সভাপতি, সম্পাদক ও কোষাধক্ষের সত্যায়িত ছবি- প্রতি জনের ১ কপি;
  • সাধারণ সদস্যদের নাম, পিতা, মাতা, স্বামীর (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) নাম, পেশা, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা এবং নিজ স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা-১ কপি
  • একই পরিবার/পরষ্পর আত্মীয়-স্বজন নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়নি মর্মে  প্রত্যয়ন পত্র-১ কপি।
  • বর্তমান ও ভবিষ্যৎ কর্মসূচী (কার্যক্রম বাস্তবায়ন পদ্ধতিসহ) প্রতিটি ১ কপি;
  • সংস্থার নামে পরিচালিত ব্যাংক হিসাবের বিবরণ ( ব্যাংক ম্যানেজার কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্র) ১ কপি;
  • সংস্থার কার্যালয়ের নিজস্ব জমির দলিল/৩০০/- (তিনশত) টাকার ষ্টাম্পে অফিস ভাড়ার চুক্তিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি-১ কপি;
  • সংস্থার আসবাবপত্রের বিবরণী -১ কপি;
  • সংস্থার সাধারণ সভায় অনুমোদিত সম্ভাব্য বাজেট (আয়-ব্যয়ের)-১ কপি;
  • স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনার/ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এর সুপারিশ পত্র-১ কপি;
  • সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক সংস্থার সদস্যদের স্বাক্ষর সঠিক মর্মে অঙ্গিকার নামা-১ কপি;
  • সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক সমাজসেবা অধিদফতর ছাড়া কোন সংস্থার নিবন্ধন গ্রহণ করলে বা কোন বৈদেশিক সাহায্য গ্রহণ করার সাথে সাথে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে মর্মে অঙ্গিকার নামা-১ কপি।

 

নিবন্ধন প্রাপ্ত সংস্থাসমূহের করণীয়

  • প্রত্যেক সাধারণ সদস্যের পাসপোর্ট আকারের ছবি সদস্য ভর্তি ফরমে সংস্থার কার্যালয়ের নথিতে সংরক্ষণ, যাতে তদন্তকালীন সময়ে তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রদর্শন করা যায়।
  • প্রত্যেক রেজিষ্ট্রিকৃত সংস্থার নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত প্রকারে পরীক্ষিত হিসাব রাখা;
  • নির্ধারিত সময়ে ও পদ্ধতিতে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের নিকট সংস্থার সাধারণ ব্যবস্থাপনা, আলোচ্য বছরে সম্পাদিত সেবা কার্যাবলীর প্রকৃতি ও ব্যাপকতার বিস্তারিত বিবরণ;
  • উহার সমর্থনে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি ও পরবর্তী বৎসরের কর্মসূচী সম্বলিত বার্ষিক প্রতিবেদন ও নিরীক্ষিত হিসাব দাখিল এবং সর্বসাধারণের অবগতির জন্য তা প্রকাশ;
  • নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত ব্যাংক বা ব্যাংকসমুহে সংশ্লিষ্ট সংস্থা কর্তৃক সমুদয় অর্থ পৃথকভাবে সংস্থার নিজ নামে জমা রাখা;
  • আইন অনুযায়ী নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ অথবা তৎকর্তৃক এতদসম্পর্কে যথাযথভাবে ক্ষমতা প্রদত্ত যে কোন অফিসার সঙ্গত যে কোন সময়ে সংস্থার হিসাব-নিকাশের বই ও অন্যান্য নথিপত্র, সংস্থার ঋণপত্রসমুহ, নগদ টাকা সহ অন্যান্য সম্পত্তি এবং তৎসংক্রান্ত সকল দলিল-দস্তাবেজ পরীক্ষা করতে পারেন বলে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা করা;
  • সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের ঠিকানা পরিবর্তন করা হলে সাত দিনের মধ্যে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষকে অবহিতকরণ।

 

অনিয়মের জন্য কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ

  • নিবন্ধনপ্রাপ্ত কোন সংস্থা তার তহবিলের সম্পর্কে কোন অনিয়মানুবর্তিতা বা তার কার্যাবলী পরিচালনার ক্ষেত্রে কোন কুশাসনের জন্য দায়ী অথবা অধ্যাদেশের বিধানাবলী বা তদধীনে প্রণীত বিধিসমুহ পালনে ব্যর্থ হলে কর্তৃপক্ষ লিখিত আদেশ বলে পরিচালকমন্ডলীকে সামায়িকভাবে বরখাস্ত করবে;
  • পরিচালকমন্ডলীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলে, নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ একজন প্রশাসক অথবা অনধিক পাঁচ ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত একটি তত্ত্বাবধায়কমন্ডলী নিয়োগ করবে।
  • প্রশাসক বা তত্ত্বাবধায়কমন্ডলীর সংস্থার গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পরিচালকমন্ডলীর সমুদয় কর্তৃত্ব ও ক্ষমতা থাকিবে;
  • নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সাময়িক বরখাস্তের আদেশ সরকার কর্তৃক পাঁচ ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত একটি পর্ষদের নিকট পেশ করবে। পর্ষদ পরিচালকমন্ডলীকে পুনর্বহাল অথবা উহার বিলুপ্তি এবং পুনর্গঠন সম্পর্কে আদেশ দান করিতে পারিবে।
  • নিবন্ধন প্রাপ্ত কোন সংস্থা তার গঠনতন্ত্রের প্রতিকূল অথবা অধ্যাদেশের বিধানাবলী বা তদধীন প্রণীত বিধিসমূহের পরিপন্থী, অথবা জনগণের স্বার্থ বিরোধী কোন কাজ করলে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে নিজ বিবেচনায় সংগত শুনানীর সুযোগ দান করে, সরকারের নিকট একটি রিপোর্ট দান করবে।
  • উক্ত রিপোর্ট বিবেচনা করে সরকার সংস্থাটি বিলুপ্ত করতে পারবে।

 

নাগরিকদের সহযোগিতার ক্ষেত্র

  • স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থা নিবন্ধন প্রদানে কোন অনিয়ম  হলে তা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা;
  • নিবন্ধন প্রাপ্ত কোন সংস্থা কোন অনিয়ম করলে তা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা;
  • নিবন্ধন প্রাপ্ত সংস্থাসমূহের উন্নয়নমূলক কাজে সংশ্লিষ্ট থাকা ও তাদের সহযোগিতা করা।

 

সেবা প্রদানের সময়সীমা

  • নিবন্ধন- প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদিসহ আবেদনপত্র প্রাপ্তির পর ২০ কর্ম দিবস।
  • নামের ছাড়পত্র- প্রয়োজনিয় কাগজপত্রাদিসহ আবেদনপত্র প্রাপ্তির পর ২ কর্ম দিবস
  • কার্যকরী কমিটি অনুমোদন- প্রয়োজনিয় কাগজপত্রাদিসহ আবেদনপত্র প্রাপ্তির পর ১০ কর্ম দিবস;
  • কার্য এলাকা সম্প্রসারণ- প্রয়োজনিয় কাগজপত্রাদিসহ আবেদনপত্র প্রাপ্তির পর ৩০ কর্ম দিবস;
  • অভিযোগ নিস্পত্তি- অভিযোগ প্রাপ্তির পর ৩০ কর্ম দিবস;

 

যার সাথে যোগাযোগ করতে হবে

  • সংশ্লিষ্ট উপজেলা/শহর সমাজসেবা অফিসার;
  • উপপরিচালক, সংশ্লিষ্ট জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, সমাজসেবা অধিদফতর;
  • সদর কার্যালয়ের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা (রেজিষ্ট্রেশন ও নিয়ন্ত্র) শাখার উপপরিচালক/সহকারী পরিচালক/সমাজসেবা অফিসার (রেজি:);
  • পরিচালক (কার্যক্রম), সমাজসেবা অধিদফতর;
  • মহাপরিচালক, সমাজসেবা অধিদফতর।

 

নিবন্ধিত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তালিকা:

ক্রম.

বিভাগ

 সক্রিয় সংস্থার তালিকা

সক্রিয় এতিমখানার তালিকা

বরিশাল

ডাউনলোড

ডাউনলোড

চট্টগ্রাম

ডাউনলোড

ডাউনলোড

ঢাকা

ডাউনলোড

ডাউনলোড

খুলনা

ডাউনলোড

ডাউনলোড

রাজশাহী

ডাউনলোড

ডাউনলোড

রংপুর

ডাউনলোড

ডাউনলোড

সিলেট

ডাউনলোড

ডাউনলোড

ময়মনসিংহ ডাউনলোড ডাউনলোড

 

নিবন্ধন বাতিলকৃত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তালিকা:

ক্রম.

বিভাগ

 

বরিশাল

ডাউনলোড

চট্টগ্রাম

ডাউনলোড

ঢাকা

ডাউনলোড

খুলনা

ডাউনলোড

রাজশাহী

ডাউনলোড

রংপুর

ডাউনলোড

সিলেট

ডাউনলোড

ময়মনসিংহ

ডাউনলোড